ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

শিশু জুবায়ের’র উপর অমানবিক শাসন!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া :

মায়াবী চেহারার শিশুটি মোঃ জুবায়ের (৮)। ব্রাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সে। যেকেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেনা এ শিশুটি চুরি করতে পারে। পিতা জিয়াউর রহমান চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর বাককুম পাড়ার মোহাম্মদ আলীর পুত্র। সে খুটাখালী বাজারের চায়ের দোকানদার। শুক্রবার রাত দশটার দিকে আপন পুত্র শিশুকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দোকানে অমানুষিক মারধর করছিল পাষন্ড পিতা।

মরন নির্যাতনের ছোবল থেকে শিশু জুবায়েরকে উদ্ধার করে পথচারী লোকজন। উদ্ধারকারীদের মধ্যে জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানায়, পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দোকানের ভেতর এক শিশুকে বেঁধে রেখে লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে প্রচন্ড মারধর করে অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। শিশুর মরন চিৎকার শুনে তিনিসহ লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ চিকিৎসালায়ে পাঠায়। এ চরম নির্যাতন কারনে-অকারণে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় চলছিল বলে জানা গেছে।

পিতা জিয়াউর রহমান তার শিশু সন্তানকে অমানুষিক মারধরের বিষয় স্বীকার করে জানায়, সন্তানদের খুব বেশি আদর করেন সে। পুত্র জুবারকে মাঝেমধ্যে দোকানে বসিয়ে দিলে সে ক্যাশবক্স থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে তার নানার বাড়িতে চলে যায়। ওখানে চুরি করা টাকাগুলো দিয়ে দিচ্ছে। ঘটনারদিন খুববেশি রাগাহ্নিত হয়ে সন্তানকে মারধর করেছে বলে জানান জিয়াউর রহমান।

শিশু জুবায়েরের মামা ফরিদুল আলম জানায়, তার বোন (শিশু জুবায়রের মা)কে ফেলে জিয়াউর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করে এক মহিলাকে ঘরে তুলেন। এরপর থেকে শুরু হয় সন্তানের উপর নির্মমতা। শিশু সন্তান জুবায়েরের জীবনে বয়ে আসছে কালো ছায়া। এমনকি পিতা ও সৎ মায়ে নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে জুবায়েরের বড় বোন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী খালার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করছে বলেও জানান মামা ফরিদুল আলম।

এ ঘটনা উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ও খুটাখালীসহ সর্বত্রে তোলপাড় চলছে।

পাঠকের মতামত: